১৯৭১ সলের রক্তে ঝরা দিনগুলোতে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমনে হানাদার মুক্ত হয়েছিল ঝিনাইদহ বিভিন্ন অঞ্চল। তারই ধারাবাহিকতায় মহেশপুর এলাকা হানাদার মুক্ত হয়েছিল 6 ডিসেম্বর। ১৯৭১ সলের রাজনৈকতক উত্তপ্ত অবস্থায় মহেশপুর বাসী সম্পূর্ণ সজাগ ছিল। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষনের পরদিন মহেশপুর বাসীর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়। ঐদিনই মহেশপুর শহরের ডাঃ নিয়ামত আলীর উদ্যোগে তার ডাক্তার খানায় মোঃ নাজিম উদ্দিন ,জাকির শেখ,কেসমত বিশ্বাস, ও শ্রী মহেন্দ্র নাথ দাস প্রমুখ একত্রিত হয়ে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন।ডাঃ নিয়ামত আলী সভাপতি ও কেসমত বিশ্বাস সম্পাদক মনোনীত হন। ঐদিন থানা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে তৎকালীন প্রাদেশিক সদস্য ও শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ জন থানার পান্তাপাড়া নিবাসী জনাব মইন উদ্দিন মিয়াজী মহেশপুর থানার সিও অফিস ভবনের পাকিস্তানী পতাকা নামিয়ে “জয় বাংলা” শ্লোগানের মাধ্যমে সেখানে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের মানচিত্র খাচত পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলনের পরদিন 9মার্চ থেকে থানার বিভিন্ন অঞ্চলে সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে মুক্তি সংগ্রামের প্রস্তুতি পর্বের জনসভা চলতে থাকে। ইতোমধ্যে 13মার্চ মহেশপুর থানা পুলিশের বাঙালী দারোগা মোঃ আঃ মতিনের সহযোগীতায় থানা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ থানার মাল খানা ভেঙ্গে 22টি রাইফেল ও বিপুল পরিমান গুলি স্থানীয় মুজাহিদদের ভিতর বিতরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে মহেপুরের প্রথম শহীদ আশরাফ। আশরাফ আলীর কবর আজও মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী হয়ে আছে মহেশপুর থানার যাদবপুরের মাটিতে। অন্য দিকে মুক্তিযদ্ধের পক্ষে 8নং সেক্টর কমান্ডার ভুক্ত মহেশপুর থানার দায়িত্বে ছিলেন এফ এফ কমান্ডার এফ আর চৌধুরী । মুক্তিযুদ্ধে মহেশপুর থানার এলাকা বিভিন্ন কারণে সুনাম বহন করে চলেছে । বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এথানার খদ্র্দ খালিশপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেছেন,তেমনি বঙ্গবন্দুর বোন শেখ জাহানারা ঢাকা থেকে ঝিনাইদহ হয়ে শরনার্থীদের সাথে মহেশপুর থানাধীন মদনপুরের নদী পার হয়ে হোগলডাংগা গ্রামের শরনার্থী ক্যাম্প থেকে যাদবপুরের করিম মোল্যার সহযোগীতায় ভারতে পৌছে দেন কমরেড রমজান আলী। মহেশপুর এলাকা হানাদার মুক্ত হয়েছিল 6 ডিসেম্বর১৯৭১ সাল। মহেশপুর থানায় তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা 351 জন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস