ঝিনাইদহ জেলাধীন মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।
জেলা শহর ঝিনাইদহ আরবপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসযোগে কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে আসতে হবে, কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস বা সি এন জি যোগে মহেশপুর আসতে হবে, এখান থেকে সিএনজি এর মাধ্যমে সরাসরি এশিয়ার বৃহত্তম দত্তনগর কৃষি খামারে যাওয়া যাবে।
0
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগরের হেমেন্দ্র নাথ দত্তের সবজি খামারটি এশিয়ার বৃহৎ কৃষি খামারগুলোর অন্যতম। আজ থেকে ৬৭ বছর আগে কলকাতার বিশিষ্ট ঠিকাদার হেমেন্দ্র নাথ দত্ত এ বিশাল কৃষি খামার স্থাপন করেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনা বাহিনীর রসদ সরবরাহকারি ঠিকাদার ছিলেন। তিনি সেনাবাহিনীর জন্য সবজি সরবরাহের ঠিকাদারি লাভ করেন। তাজা সবজি উৎপাদনের জন্য নিজ গ্রাম দত্তনগরে এ বিশাল কৃষি খামার গড়ে তুলেন। ১৯৪০ সালে এ এলাকা ছিল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নিভৃত পল্লী। সড়ক ছিল না। রেলপথে দর্শনা স্টেশনে সবজি বহন করে নিয়ে কলকাতায় পাঠানোও ছিল দুরূহ ব্যাপার। দীর্ঘ সময় লাগায় পচে যেত। তিনি দত্তনগরে হেলিপ্যাড স্থাপন করেন। প্রতিদিন হেলিকপ্টারযোগে টাটকা শাক-সবজি কলকাতায় সরবরাহ করে তিনি প্রচুর লাভ করতেন। খামারের কলেবরও বৃদ্ধি করেন। দত্তনগর এ বিশাল খামারের আওতায় ৫টি ফার্ম আছে।সেগুলো হচ্ছে গোকুলনগর, পাতিলা, মথুরা, খড়িঞ্চা এবং কুশডাঙ্গা। ফার্মগুলোর মোট জমির পরিমাণ দু’হাজার ৭৩৭ একর। আবাদী জমির পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার একর। নীচু জমি আছে ৬শ’একর এবং বিল এলাকা আছে ২শ’একরের উপর।১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এইচ দত্ত দত্তনগর খামার ছেড়ে কলকাতায় চলে যান। ম্যানেজার ও কর্মচারিরা খামার দেখাশুনা করতে থাকেন।১৯৪৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার দত্তনগর খামার অধিগ্রহণ করে এবং কৃষি বিভাগের উপর পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ১৯৬২ সালে ফার্মের যাবতীয় সম্পত্তি কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিএডিসি বিভিন্ন শস্য বীজ উৎপাদনে খামারটি কাজে লাগায়। অফিস, বাসভবনসহ নানান স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। সেচের জন্য বসানো হয় গভীর ও অগভীর নলকূপ। আর ক্ষেতে পানি সরবরাহের জন্য পাকা ড্রেন নির্মাণ করা হয়। আগে শ্রমিক দিয়ে শস্য কর্তন ও মাড়াই করা হতো। এখন বড় বড় মেশিনের সাহায্যে ফসল কাটা ও মাড়াই করা হয়। সেচের জন্য ৩৬টি গভীর, ১৩টি অগভীর এবং ১০টি পাওয়ার পাম্প আছে
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস