নামঃ উপজেলা পরিষদ কার্য্যালয়, মহেশপুর।
ভবনটির উদ্বোধনকালঃ ১০ই ফেব্রুয়ারী,১৯৯০ খ্রিঃ
উপজেলা এই প্রশাসনিক ভবনটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন মাননীয় জেলা প্রশাসক ঝিনাইদহ মহোদয় জনাব মোঃ আসাদ উজজামান ভূইয়া।
মহেশপুর উপজেলার নামকরণঃ
মহেশপুর উপজেলার নাম করনে প্রাচীনতম ইতিহাসের আলোকে ঐতিহাসিকদের মতামতের ভিন্নতা রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে প্রাচীন আমলে এই ছোট জনপদের নাম ছিল যুগীনদোহা অর্থ্যাৎ বর্তমান যোগীহুদা । এর আদি বাসীরা হচ্ছে তাঁতী ও যোগী। কথিত আছে যে প্রায় ৩০০ শত যোগী এক সময় যোগীনদোহা বা যোগীহুদা গ্রামে বসতি স্থাপন করে। এরই পাশ দিয়ে প্রবাহমান কপোতাক্ষ বা ভৈরব নদীকে ওরা বলত দোহা। এই দোহার তীরে ওরা বসবাস করত বলে এ জনপদের নাম যোগীনদোহা বর্তমান যোগীহুদা । কালের আবর্তে এই যোগীদের মধ্যে অন্যতম এক যোগী ছিল যার নাম 'মহেশ্বর '। দ্বাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে অর্থ্যাৎ ১১০২ সালের দিকে সেন বংশীয় রাজা বিজয় সেন ঐ যোগী মহেশপুরের নামানুসারে একটা মন্দির নির্মাণ করেন যার নাম মহেশ্বর মন্দির এই মন্দিরটি নগর কেন্দ্রিক হওয়ায় মহেশ্বর নামক মন্দিরের নামানুসারে এ জনপদের নাম রাখা হয় মহেশপুর (পৌর) যা মহেশপুর উপজেলা। এই মহেশ্বর মন্দিরকে কেন্দ্র করে মহেশপুর নামক এই জনপদে প্রভাব শালী ১২ (বার) জন হিন্দু জমিদারের (যার পূর্বপুরুষ হরিনারায়ন রায়(চৌথুরী) ধ্বংস প্রাপ্ত ( প্রায় অবলুপ্তির পথে) আবাসগৃহ গুলি একটি সু-প্রাচীন ঐতিহ্য। এই মহেশ্বর মন্দিরের অনুকরনে মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন অংশে এখনও অনেক হিন্দু মন্দির আছে যা এ জনপদের হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা -অর্চনার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এ গুলি এখনও এতদঞ্চলে সামাজিক সম্প্রীতির অতীত ঐতিহ্য বহন করে চলছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ জেলা শহর ঝিনাইদহের আরাবপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসযোগে কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। এরপর কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসযোগে সরাসরি খালিশপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমে ভ্যান/রিক্স যোগে বা সিএনজি বা মিশুক যোগে মহেশপুর উপজেলা পরিষদে আসা যাবে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS